বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

বিজ্ঞানীদের জাতির জনকের সমান মর্যাদা দেয়া হোক

শিরোনাম শুনে আপনার মনে হতে পারে, ''মামাবাড়ির আবদান নাকি ? বিজ্ঞানীরা কিভাবে জাতির জনকের সমতুল্য হয় ? তারা তো মুক্তিযোদ্ধাদেরও সমতুল্য নয়।"
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের চেয়ে রক্তের চেয়েও বেশী পবিত্র - এ কথাটা শুনেছেন। আশাকরি মানবেনও। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - বাঙালি বিজ্ঞানীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমান মর্যাদা দেয়াই উচিত। সব বিজ্ঞানীকে নয়। যাদের আবিস্কার বিজ্ঞান জগৎকে আলোড়িত করেছে শুধুমাত্র তাদেরকেই জাতির পিতার সমান মর্যাদা দিন। 
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে জেনে নিন - কারা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ? 

তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোস, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্র, পরীক্ষণনির্ভর পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান, আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু, পদার্থবিজ্ঞানী বিভা চৌধুরী ইত্যাদি। এনারাই হলেন বাঙালি জাতির সত্যিকার গর্ব। এদের ছবিও বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি বাংলাদেশের নোটে স্থান পাক। 

বঙ্গবন্ধু শুধুই বাংলাদেশের জাতির পিতা, মহাত্মা গান্ধী শুধুই ভারতের জাতির পিতা। জাতির জনকরা শুধুই একটা জাতির হিরো। বঙ্গবন্ধু শুধুই বাংলাদেশীদের হিরো, তিনি কখনোই নেদারল্যান্ডবাসীর হিরো হবেন না। মহাত্মা গান্ধী শুধুই ভারতীয়দের হিরো, তিনি কখনোই অস্ট্রেলিয়ানদের হিরো হবেন না। কিন্তু একজন বিজ্ঞানীর আবিস্কার সকল দেশের পাঠ্যবইয়ে থাকে। কাজেই বিজ্ঞানীরা সকল দেশের, সসকল মানুষের হিরো। এখন বুঝলেন তো বিজ্ঞানীদের মর্যাদা কোন লেভেলের ? অনুগ্রহপূর্বক বাঙালি বিজ্ঞানীদের ছবি নোটে স্থান দিন। তাঁদের জন্মদিনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উনাদের জীবন, কর্ম নিয়ে আলোচনাসভা করার নির্দেশ দিন। 

স্যাটেলাইট, বিমান বন্দর, নভোথিয়েটার সবকিছুর নামে ''বঙ্গবন্ধু'' শব্দটা না লাগিয়ে কিছু কিছু স্থাপনার নাম বাঙালি বিজ্ঞানীদের নামেও করুন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন