বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

পুলিশের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া হোক

একবার গ্রেফতার হলে একজন মানুষের মান-সম্মান, সামাজিক মর্যাদা সব শেষ হয়ে যায়। তাই সন্দেহের ভিত্তিতে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। হয়ত খুন হওয়া ব্যক্তির রুমে আরেকজন জীবন্ত ব্যক্তিকে পাওয়া গেল, তবু তাকে এরেস্ট করা যাবে না। সন্দেহের ভিত্তিতে এরেস্ট করার আইন বাতিল করুন, মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী।
কারোর বিরুদ্ধে খুন বা ধর্ষণ বা জালিয়াতির মামলা করা হলেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে না। এরকম অসংখ্য কেস আছে যেখানে আসামী 3 বছর, 5 বছর এমনকি 10 বছর জেল খাটার পর প্রমাণিত হয় যে সে নির্দোষ ছিল। তার জীবনের অতগুলো বছর তো আপনি ফিরিয়ে দিতে পারবে না। পারবেন কি ?
একমাত্র আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখনই শুধুমাত্র গ্রেফতার করা যাবে। অপরাধ প্রমাণ হবার আগ পর্যন্ত বারবার আদালতে এসে হাজিরা দিয়ে গেলেই হল। আসামী যেন পালিয়ে না যায় সেজন্য তার হাতে বা পায়ে ট্র্যাকার ফিট করা হবে। ফলে তাকে সবসময় ট্র্যাক করা যাবে। আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হলে ট্র্যাকার খুলে নেয়া হবে। কেউ ট্র্যাকার খোলার চেষ্টা করার সাথে সাথে পুলিশ এসে আসামীর আশেপাশের সব এলাকা, রাস্তা ঘিরে ফেলবে যাতে পালানোর কোন উপায় না থাকে।
ব্যাস, ঝামেলা শেষ।

আর রিমান্ড জিনিসটা বাংলাদেশ থেকে উঠিয়ে দিন। রিমান্ডে নিলে নিরপরাধ মানুষের উপরও জঘণ্য অত্যাচার হয়। কারোর স্বীকারোক্তি আদায় করতে হলে তাকে Lie Detector Test নেয়া হোক। এক ধরণের যন্ত্র Lie Detector. এ যন্ত্রে হাত রেখে মিথ্যা কথা বললে যন্ত্র ধরে ফেলে। মিথ্যা বলার সময় মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস ঘন ঘন হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়। শরীরের এই সূক্ষ পরিবর্তন এ যন্ত্র ধরতে পারে। খুবই চালাক মানুষ হয়ত স্বাভাবিকভাবে সত্যের মত মিথ্যা বলে যেতে পারে এবং যন্ত্রকে ফাঁকি দিতে পারে। সেটা খুবই rare case. এখন Lie Detector আরো উন্নত ও sensitive হয়ে উঠছে। প্রত্যেক থানায় এক ডজন Lie Detector পাঠিয়ে দিন। তবে আসামী সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে সেটা খুব সহজেই ধরা যাবে। অনেক সময় আসামী সত্য বললেও পুলিশ বিশ্বাস না করে রামধোলাই দেয়। এ জিনিসটা বন্ধ করা যাবে, রিমান্ডের প্রয়োজনই হবে না। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন