বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

সরকারী চাকুরীজিবীরা 2য় শ্রেণীর নাগরিক হোক

মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী, আপনি সরকারী চাকুরীজিবীদের কেন প্রথম শ্রেণীর নাগরিকের মর্যাদা দিলেন ? এদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিন। প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হবে যত সৃষ্টিশীল মানুষ আছে যেমন - বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক, আর্টিস্ট এনারা। আমাদের মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, নির্মলেন্দু গুণ, মোস্তফা মনোয়ার ইত্যাদি। এনারা হবেন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হবার প্রথম শর্ত বিনা পারিশ্রমিকে যারা সৃষ্টিশীল কাজ করেন তারা। অর্থাৎ অভিনয় এবং নাটক সিনেমার পরিচালনা যদিও সৃষ্টিশীল কাজ তবু তারা পারিশ্রমিক নেন বিধায় তারা ১ম শ্রেণীর নাগরিক হতে পারবেন না। 
এবার আসি সরকারী কর্মকর্তারা কেন ১ম শ্রেণীর নাগরিক হবার যোগ্য নন, সেই প্রসঙ্গে। বিসিএস পরীক্ষার্থীরা কি করে ? কোন সাহিত্যিক কোন গল্প উপন্যাস লিখছে সেগুলো মুখস্ত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও একবারও চিন্তা করে দেখে না নিজে কোন উপন্যাস লিখতে পারত কিনা, কোন বিজ্ঞানী কি আবিস্কার করছে তা মনে রাখতে গিয়ে মাথার তার ছিড়ে ফেললেও একবারও চিন্তা করে দেখে না নিজে কি আবিস্কার করতে পারত। অর্থাৎ সৃষ্টিশীল হওয়া তো দূরের কথা যারা সামান্য মাথা খাটাতে পারে না, গরুর মত মুখস্ত করতে পারে তারাই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং টিকেও যায়। বিসিএস পরীক্ষায় যে যত ভাল করবে, তার মুখস্তবিদ্যা তত বেশী, সে তত বড় গাধা। এই গাধারাই সরকারী চাকরী করে। সাহিত্যিকম বিজ্ঞানী, আর্টিস্ট এসব মাথা খাটানো লোকদের চেয়ে ঐসব মুখস্তবিদ্যাধারী গবেট ক্যাডার গুলোর মর্যাদা বেশী হওয়াটা কি উচিত ? আপনিই বলুন প্রধাণমন্ত্রী। 
তাছাড়া সরকারী কর্মকর্তাদের ২য় শ্রেণীর নাগরিক বানালে মানুষ বিসিএসের প্রতি অত আকৃষ্ট হবে না ফলে প্রতিযোগীতা কম হবে। এটাই তো ভাল। ১ম শ্রেণীর নাগরিক হবার জন্য সবাই মুখস্তবিদ্যা বাদ দিয়ে মাথা খাটানো শুরু করবে। ফলে সাহিত্যে ও বিজ্ঞানে বাংলাদেশ নোবেল পুরস্কার হাসিল করবে। এটা ভাল না ? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন