শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি

আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত রীতি আছে যে wife সবসময় husband এর চেয়ে বয়সে ছোট হবে আর husband হবে wife এর চেয়ে বয়সে বড়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল কেন ? হ্যা এটা আমি জানি যে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে অনেক দ্রুত mature হয়। হয় তো হোক। তাই বলে maturity ( দুইজনের ) সমান হওয়ার জন্য একটি মেয়েকে অপেক্ষাকৃত বেশী বয়সের ছেলের সাথে কেন বিয়ে দিতে হবে ? সবসময় husband কেই কেন wife এর চেয়ে বেশী mature হতে হবে ? স্ত্রী যদি স্বামীর চেয়ে বেশী পরিণত হয় তো সমস্যা কি ? আমি সবসময় চাই যে আমার স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড আমার চেয়ে বয়সে বড় হোক, আমার চেয়ে বেশী mature হোক। কেন ? কারণ, স্ত্রী বা প্রেমিকা যদি বয়সে ছোট বা সমান হয় তাহলে তার স্বামী বা প্রেমিককে তার ন্যাকামি সহ্য করতে হবে। সে শুধু বায়না ধরবে, ''ওগো আমাকে এটা কিনে দাও, ঐটা কিনে দাও।'' কিন্তু স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হলে সে তার স্বামীর অবস্থা ( আর্থিক, মানসিক, সামাজিক ) বুঝতে পারবে অপেক্ষাকৃত বেশী। বয়সে বড় হওয়ার দরুণ তার অভিজ্ঞতাও বেশী হবে, ফলে স্বামী সহজেই বিভিন্ন বিষয়ে বেশী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন wife এর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে। তাছাড়া, সবচেয়ে বড় সুবিধা হল - ''সমবয়সী বা বয়সে ছোট wife এর কাছ থেকে হয়ত শুধু ভালবাসাই পাওয়া যায়, কিন্তু wife বয়সে বড় হলে তাঁর কাছ থেকে ভালবাসার পাশাপাশি স্নেহ, মমতা বোনাস পাওয়া যায়।'' এটা হল আমার যুক্তি। এখন কথা হল যে, ''মায়ের কাছ থেকে যে স্নেহ মমতা পাওয়া যায় তাতে পোষায় না, স্ত্রীর কাছ থেকেও দরকার হয়।'' আমার এক বন্ধু বলছিল যে wife বয়সে বড় হলে তুমি যা আশা করছ তার উল্টাটাও হতে পারে, সে তোমাকে স্নেহ ভলবাসা না দিয়ে শাসনও করতে পারে। আমি তাকে বলেছি, ''নাহ, এমনটা হবে না, আমার স্ত্রী আমার চেয়ে বড় হওয়ার দরুণ আমাকে স্নেহ ভালবাসা দিতে পারে কিন্তু তারপরও সে অবশ্যই আমাকে শ্রদ্ধা করবে। after all, আমি তার পতি। তাছাড়া, ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহম্মদ ( স ), শচীন টেন্ডুলকার, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এদের সবার স্ত্রীই তাদের চেয়ে বয়সে বড় ছিল। এটা তো জানই যে প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকে, আর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বেশীরভাগ সফল পুরুষের স্ত্রীই তাদের চেয়ে বয়সে বড়।'' এই কথা শোনার পর বন্ধুটি আর কিছু বলল না। কোন এক মহাপুরুষ বলছে যে, বিয়ে হল আসলে একটি মেয়ের দ্বারা এমন একটি ছেলেকে adopt করা যে কিনা এখন আর তার বাবা-মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না ( কথাটুকু আমর এক বান্ধবীর status হতে সংগৃহীত )। জিরো টু ইনফিনিটির স্বাস্থ্য সাময়িকী (হেলথ জিরো টু ইনফিনিটি )  র প্রথম সংখ্যায় একটা ছোট্ট article ছিল অনেকটা এরকম - ''মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণী বাচ্চা জন্ম দেয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মানুষের ক্ষেত্রে তা হয় না। বয়সের একপর্যায়ে এসে নারীর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারানোর পিছনে পুরুষই দায়ী। কারণ, পুরুষেরা সাধারণত জীবনসঙ্গী হিসেবে কম বয়সী মেয়েদের পছন্দ করে। এর প্রভাব পড়েছে নারীর সন্তান জন্ম দেয়ার সামর্থ্যের উপর। ধীরে ধীরে এমন ভাবনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে বয়স্ক মহিলাদের সন্তান জন্ম দেয়ার প্রয়োজন নেই, তারা তাদের নাতি-নাতনীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারেন। এই ধরণের মানসিকতা চর্চার ফলে জিনগত পরিবর্তন ঘটেছে। তাই এখন মাঝবয়সেই নারী সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারায়।''      .............................
তো, এই হল কাহিনী। এই যদি কাহিনী হয় তবে তবে কেন আমি আমার চেয়ে বয়সে বড় কাউকে ভালবাসতে পারি না ? কেন আমি আমার চেয়ে বয়সে বড় কোন মেয়েকে জীবনসঙ্গীনী করার সপ্ন দেখতে পারি না ? কেন কোন মেয়ে তার চেয়ে বয়সে ছোট Husband চায় না ? why ? আর যদি আমি আমার চেয়ে বয়সে বড় কোন মেয়েকে পছন্দ করি, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে প্রেমিকা হিসেবে যতটুকু সম্মান দেয়া উচিত তার চেয়ে বেশী সম্মান দিব না। তাই না ? তা সে যতই আমার চেয়ে বয়সে বড় হোক না কেন ? আর আমি যদি আমার girlfriend কে অর্থাৎ আমার চেয়ে বয়স্কা মেয়েটাকে প্রেমিকা হিসেবে সম্মান দেয়া ছাড়া বয়সে বড় হওয়ার কারণে কোন extra সম্মান না দিই তাহলে তার বন্ধুবান্ধবদেরকে কেন দিব ? আমি কেন আমার বয়স্কা girlfriend র বন্ধুবান্ধবদের নিজের বন্ধু ( সমবয়সী ) হিসেবে ভাবব না ? আমি যদি তাকেই সিনিয়রিটি না দিই তবে তার বন্ধুদেরকে কেন দিব ? এই হল আমার প্রশ্ন। আমি ক্লাস 7 এ পড়ার সময় জীবনে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম আমার চেয়ে বয়সে 5 বছরের বড় একটা মেয়ের। তার নামটা আমি বলব না, শুধু এটুকু বলব যে সে আমার জীবনের প্রথম ভালবাসা। যাই হোক, আমি মনে করি এই ''সিনিয়র-জুনিয়র'' ব্যাপারটা ফালতু একটা ব্যাপার। অনার্স 1st year থেকে শুরু করে last year পর্যন্ত সবাই বন্ধু। কিসের সিনিয়র আর কিসের জুনিয়র। এই ''আপনি, তুমি, তুই'' অপরকে সম্বোধনের এ ব্যাপারটা হল বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির সর্বাপেক্ষা জঘন্যতম ব্যাপার। হ্যা, আমি আমর নিজের দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছুকেই ভালবাসি তবে নিজের সংস্কৃতির মধ্যে যদি কোন খারাপ দিক থাকে, তবে সেটাকে খারাপ বলাটা নিশ্চয়ই অন্যায় নয়। এটা কখনোই জরুরী নয় যে, আমি দেশের মাটিতে জন্মাইছি সে দেশের সে মাটির সে ভাষার সে সংস্কৃতির সবকিছুই যে ভাল লাগতে হবে এমন কোন আইন নিশ্চয়ই নাই। কোন জিনিস খারাপ লাগলেও কি জোর করে ভাল লাগাব নাকি ? এটা ঠিক যে, অপরিচিত ব্যাক্তিদের অবশ্যই আপনি বলেই সম্বোধন করা উচিত। তারপরও আমি বলব, এর চেয়ে ইংরেজীই ভাল ''আপনি তুমি'' র বালাই নাই, সব you দিয়া কাজ চালায়। এটাই Better.

আর তাছাড়া অন্য সবার মত আমি সংকীর্ণমনা নই যে শুধু বাংলাদেশকে নিজের জন্মভূমি ভাবব, পুরা পৃথিবীই আমার জন্মভূমি, পৃথিবী কি বলি সমস্ত সৌরজগৎ এমনকি আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সি পর্যন্ত আমর Birthplace. নিজের ভাষার প্রতি আমার যতটুকু শ্রদ্ধা, অন্য গ্রহের কোন ভিনগ্রহী প্রাণীর ভাষার প্রতিও ঠিক ততটুকুই শ্রদ্ধা। আমি সাধারণ মানুষের মত অত ক্ষুদ্র স্কেলে চিন্তা করি না, বিশাল স্কেলে চিন্তা করি - এটাকে যদি কেউ অপরাধ হিসেবে নেয়, তাহলে আমার কিছুই করার নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন