শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা

 ( অনার্স ২য় বর্ষে পড়ার সময়কার ফেসবুক পোষ্ট ব্লগে দিলাম )
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যায়লের অনেক পার্থক্য আছে। তাদের মধ্যে একটি অন্যতম বড় পার্থক্য হল অন্য সকল versity র student রা কখনো কোন টিচারের কাছে আলাদাভাবে টিউশন নেয় না, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের student রা বেশরভাগই টিচারের কাছে আলাদাভাবে টিউশন নেয়, অনার্সে পড়ার পরেও National University র student দেরকে SSC - HSC র STUDENT দের মত আলাদাভাবে অন্য জায়গায় পড়তে হয়। হয়ত সেটা কোন কোচিং এ অথবা কোন টিচারের কাছে ব্যাচে। কেননা, Public ও Private versity গুলোতে ক্লাসে যা পড়ানো হয়, পরীক্ষায় তাই আসে ( সম্ভবত, আমি শুনেছি এরকম ) আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয়ের যে কোন year এ নির্দিষ্ট যে সিলেবাসটি আছে তার যে কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন হতে পারে তা সেটা ক্লাসে পড়ানো হোক আর না হোক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয় অধীনস্থ যে সকল কলেজে অনার্স প্রোগ্রাম চালু আছে সেসকল কলেজের মধ্যে অনেক কলেজের ফিজিক্স কেমিস্ট্রির টিচারেরা যথেষ্ট দায়িত্বশীল বিধায় সেসকল কলেজের ঐ বিভাগের student দের টিউশন নেয়া লগে না। আবার এমন অনেক কলেজ আছে যেসকল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ( Specially Physics Department এর ) টিচারেরা এতটাই দায়িত্বজ্ঞানহীন যে যখন student রা ক্লাস নেয়ার কথা বলে তখন তারা বলে বসে, ''আজকে শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে, ক্লাস নিতে ইচ্ছা করছে না, আরেকদিন নিই ?'' এসকল দায়িত্বজ্ঞানহীন টিচার দ্বারা পরিপূর্ণ কলেজর সংখ্যাই বেশী। যার দরুণ National University র ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য হয়ে টিচারের কাছে আলাদাভাবে ব্যাচে পড়তে হয়। আবার কখনো কখনো পড়ালেখায় একেবারেই অনাগ্রহী সহপাঠীদের জন্য কোন কোন student ব্যাচ গঠন করতে ব্যর্থ হয়, ফলে সেসকল হতভাগ্য student কে টিচারের কাছে একা পড়তে হয়; সেক্ষেত্রে টিচারগণ ঐ দুর্ভাগা student এর কাছ থেকে পুরা ব্যাচের টাকাটাই দাবী করে বসে। এরকম অর্থপিশাচ Teacher দের পাল্লায় পড়ে অর্থনৈতিক শোষণের শিকার হয়ে কতশত student এর দিশেহারা হয়ে পড়ে ! কে তার খবর রাখে ? ডাক্তারদের সাধারণত কসাই বলা হয় বলে জানতাম, শিক্ষকতার মত মহান পেশার সাথে যুক্ত থাকা মানুষও যে কসাই হতে পারে সেটা জানতাম না। অনার্সের যেকোন year এ যে কোন subject এর যে কোন চারটা কোর্স পড়াইতে ১০০০০০ ( এক লক্ষ ) টাকা চেয়ে বসে। এইরকম Huge amount এর টাকা চাওয়ার আগে একবারের জন্যও চিন্তা করে দেখে না যে এই student এর যদি সেইরকম টাকা দেয়ার সামর্থ্যই থাকত তাহলে সে প্রাইভেট ভার্সিটিতেই ভর্তি হইত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ ১৫/১৬ টাকা বেতনের কোন কলেজে ভর্তি হত না। আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝিনা যে টাকাটাই কি সব ? একজন ছাত্রের জ্ঞানতৃষ্ণা,তার ভবিষৎ, তার সপ্ন এগুলোর কি কোন মূল্য নাই ? বর্তমানে বাংলাদেশে আমি যে জিনিসটার সবচেয়ে বেশী অভাববোধ করছি সেটা হল নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের বড়ই অভাব এই দেশে; অন্তঃত আমি ঢাকা শহরের যে কয়জন Physics Teacher কে চিনি তাদের মধ্যে তো কেউই নাই নিবেদিতপ্রাণ, কেউ না। This is a matter of great sorrow. কি যে করি ? কার কাছে যাই ? আমি একেবারেই দিশেহারা। আমার কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ দায়িত্বশীল হত, নিয়মিত ক্লাস নিত তাহলে হয়ত আমার ক্লাসের কারোরই অন্য জায়গায় প্রাইভেট পড়ার কথা চিন্তাও করা লাগত না, আমারও না। কিন্তু আমার কলেজের Physics Department এর টিচারদের মত দায়িত্বজ্ঞানহীন টিচার আর কোন কলেজে আছে কিনা সন্দেহ। আমি যদি কোনদিন Physics এর শিক্ষক হতে পারি তবে কক্ষণো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে student পড়াব না, বরং ক্লাসে এমনভাবে পড়াব যেন অন্য কোন টিচারের কাছে আমার ছাত্রদের যাওয়াই না লাগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন