শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

কমিকস পড়ার আনন্দ

চাচা চৌধুরী - এক বুহু পুরোনো কোন দিনের স্মৃতি ভেসে উঠে নামটা শুনলে বা দেখলে। সেই স্কুল লাইফের কথা, চাচা চৌধুরীর কমিকস কেনার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়ে কত কান্নাকাটি, পড়ার বইয়ের মধ্যে কমিকস ঢুকিয়ে এমনভাবে পড়তাম যে বুঝাই যেত না আসলে কি পড়ছি। অনেক আগে একটা ইন্ডিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, নাম Shahara Tv. প্রতি রবিবার বেলা 11.00 টার দিকে চাচা চৌধুরীর Serial দেখাইত। আমাদের বাসায় তখন ডিশের লাইন ছিল না। আমি আমার জ্যাঠার ( চাচার ) বাসায় চলে যেতাম দেখার জন্য, জ্যাঠাত ভাইবোনদের সাথে রিমুট নিয়া কামড়কামড়ি। এখন তো বাসায় ডিশের লাইন আছে। কিন্তু ঐ সময় বিটিভি আর একুশে টিভি ছাড়া কিছুই ছিল না। চাচা চৌধুরী আর সাবুর কাহিনী পড়ার জন্য কি যে পাগল ছিলাম ! বাসায় কয়েক ডজন কমিকস ছিল। গোগ্রাসে গিলতাম ইন্ডিয়ান কমিকসগুলা। চাচা চৌধুরী, পিংকি, বিল্লু, রমন এগুলা। আর আমার মোটাসোটা একটা বন্ধু ছিল, নাম তুষার চক্রবর্তী। বর্তমানে কলকাতায়। ক্লাস 4 থেকে 7 পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিল। আমার সাথে পড়ছে, ও একদিন ক্লাসে নতুন একটা চরিত্রের কমিকস নিয়া আসল, অগ্নিপুত্র অভয়। আমার দেখে পড়তে ইচ্ছা হইছিল, কিন্তু সে দিল না। ওকে আমরা মোটু বলে ক্ষেপাইতাম। সে যাই হোক, সেই শিশু মনটা হয়ত আজও রয়ে গেছে তানাহলে এখনও কমিকস পড়তে ভাল লাগবে কেন ? হ্যা, মনটা অনেকটা বড়দের মত হইছে; প্রেম, ভালবাসা, সেক্স সবই বুঝি। তারপরও বড়দের মনের মধ্যেও সেই ছোটদের মনটা হারিয়ে যায়নি। অনেকরই হারিয়ে যায়, কিন্তু আমি হারিয়ে যেতে দিই নি। আজও নীলক্ষেতে কমিকস দেখলে কেনার লোভ সামলাইতে পারি না। স্কুলে টিফিন টাইমে পর্যন্ত কমিকস পড়তাম। আজ কেন জানি সেই কমিকস পড়া পুরোনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়ও নন্টে ফন্টে, টিনটিন প্রভতি কমিকস পড়েছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন