শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

না বলা কথা ২

কে বলে ২য় মহাভারত লেখা সম্ভব নয় ? কে বলে আর কেউ রবীন্দ্রনাথ হতে পারবে না ? কে বলে আর কেউ নিউটন - আইনস্টআইন হতে পারবে না ? এরা একবারই জন্মায় । এমনটা কি সম্ভব না যে, কোন ব্যাক্তি জীবনে কোনদিন রবীন্দ্রনাথের কোন লেখা পড়ে নাই, কিন্তু এমন কাব্য রচনা করল যা কাব্যগুণে "গীতাঞ্জলী" র চেয়েও উত্তম। এমনটা কি সম্ভব না যে, কোন ব্যাক্তি এমন মহাকাব্য রচনা করল যা সকল দিক দিয়েই মহাভারতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ । যদি সম্ভব না হয়, তবে কেন সম্ভব না ? সম্ভব যে না - এর পিছনে কি কোন যুক্তি আছে কি ?
বাবা মা কে ভাল না বাসলে দুনিয়াকে ভালবাসা সম্ভব না, কেন ? দেশকে ভাল না বাসলে বিশ্বকে ভালবাসা সম্ভব না, কেন ? " বংশগতিবিদ্যা " শাস্ত্রের কোন বইয়ে লেখা আছে যে, যে ছেলে তার বাবা মা কে ভালবাসে না, সে আর কোন কিছুকেই ভালবাসতে পারে না বা তাকে আর কেউ ভালবাসে না অথবা, যে ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা মা কে ছেড়ে দিয়েছে, তার সন্তানও তাকে বৃদ্ধ বয়সে ছেড়ে চলে যাবে । " জেনেটিক্স " এর কোন বইয়ে লেখা আছে এইসব উল্টাপালটা কথা ? বড়দেরকে ছোটদের সম্মান করতে হয়, তা বড়রা যতই উল্টাপালটা আচরন করুক না কেন, তাই না ? কিন্তু কেন ? সবসময় কেন বড়দেরকে সম্মন করতে হবে ? এর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি ?
আমাদের দেশের ARMY, RAB, POLICE এরা, এইসব অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত লোকেরা ছাত্রদের ( ছাত্ররাজনীতিবিদ বাদে ) গায়ে হাত তোলার সাহস পায় কি করে ? এদের কি যোগ্যতা আছে, কোন ছাত্রর সাথে উচু গলায় কথা বলার ? .
পরীক্ষায় ২য় বা ৩য় হলে বাবা মা কেন বলে ১ম হওয়ার চেষ্টা করতে ? পরীক্ষায় কোন ছাত্র খারাপ ফলাফল করলে তাকে কেন তার সাথে বাবা মা দুর্ব্যবহার করে ? একজন ছাত্র কেবলমাত্র পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার জন্য পড়ালেখা করবে ? কেন জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ালেখা করবে না ? কেন আমরা কম পড়ে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে চাই ? কেন এটা মনে করি না যে পরীক্ষায় ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি আমার ক্লাসের বন্ধুদের চেয়ে তো বেশী জানি ; তা আমি যে ওদের চেয়ে বেশী জানি এটা ওরা জানুক আর না জ়ানুক।
আমার কিছু ধর্মান্ধ বন্ধু বলে যে পৃথিবীতে আল্লাহ তাদেরকে পাঠিইয়েছে পরীক্ষা করা
র জন্য, কাউকে কম ধনসম্পদ দিয়েছে আবার কাউকে বেশী। কাউকে জন্মগ্রহন করিয়েছে সোনার চামুচ মুখে নিয়ে, কাউকে বা পিতলের । পৃথিবীটা একটা পরীক্ষাস্থল । উনি আমাদেরকে পরীক্ষা করছে। HOW DARE HE/SHE ? আমরা তার সৃষ্টি হতে পারি, কিন্তু তার পরীক্ষাগারের গিনিপিগ তো না যে উনি আমাদের নিয়ে পরিক্ষা করবেন । আমরা ভাল থাকব, সৎ থাকব, সর্বদা সত্য কথা বলব। কিন্তু আমাদের নিজের ইচ্ছায়, ঈশ্বরের ইচ্ছায় না বা ধর্মগ্রন্থের কথায় নয় । ঈশ্বর কে ? .
আমি আমার নিজের ইচ্ছায় ভাল । ঈশ্বরের ইচ্ছায় না । আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও ভাল। ঈশ্বর রক্তপিপাসু, তাই বলি চায়, কোরবানি চায়। আমিও যে নিরামিশাষী তা না, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট উপলক্ষে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পশুর উপর সমস্ত মানবজাতির গজব নামিয়ে আনাটা আমাকে বাধা দেয় ঈশ্বরকে পরমকরুণাময় ভাবতে । ঈশ্বরের চেয়ে আমি বেশী করুণাময় । " ভাল " শব্দটির প্রতিশব্দ হলাম আমি, আমিই ন্যায়ের পরাকাষ্ঠা, আমিই সত্য ও সুন্দরের প্রতীক - এই চিন্তা সকলের মধ্যে জাগ্রত হলে পৃথিবীতে আর অন্যায় বলে কিছু থাকবে না ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন