শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

মনোরোগবিদ্যা কি আদৌ বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান ?

 


Psychiatry একটা pseudo-science ( ছদ্ম বিজ্ঞান )। বিজ্ঞানের ছদ্মবেশ নিয়ে আছে। যারা সাইকোলজিস্ট দেখাতে যায়তাদের উপর সাইকোলজিস্টের সেইরকম power থাকে। যাকে ইচ্ছা হল, ''মানসিক রোগী'' খেতাব দিয়ে দিল। যাকে ইচ্ছা হলমেন্টাল হসপিটালে পাঠিয়ে দিল। 

তারা যেসব ওষুধ খেতে বাধ্য করে মানুষকেসেসব ওষুধই বরং আরো মানুষের ক্ষতি করে। সাইক্রিয়েটিস্টরা মানুষকে বলে, ''তোমার মানসিক রোগ হয়েছে। তুমি নিজেরটা বুঝবে নাকিন্তু আমরা বুঝতে পারছি। ওষুধগুলো খেয়ে নাও।'' .... এসব ওষুধ মানুষকে ভিতর থেকে দুর্বল করে ফেলেতার সৃষ্টিশীলতাঅনুভূতিযৌন সক্ষমতা সবকিছুকে ধ্বংস করে ফেলে। সাইক্রিয়েটিস্টরা একজন মানুষকে মানসিক হাসপাতালে বন্দী করে রাখেনমানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেন।  99% সাইক্রিয়েটিস্টরা কখনোই লোকের দুঃখের কথা শুনে কাঁদে নাআত্মহত্যার সামান্য একটু sense পেলেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু উনি ( যার ভিডিও দিলাম ) ব্যতিক্রম। উনি বরং depressed লোকদের বলেন, ''এত কিছুর পরও আপনি আত্মহত্যা না করে আছেন কিভাবে ?'' এসব শুনে তার কলিগরাও আতকে উঠে। কারণ - সাইকোলজিস্টরা নিষ্ঠুর হবার ট্রেনিং নিয়েই কাজে নামে। মানুষ যত বেশী তার দুঃখ প্রকাশ করবেসাইকোলজিস্ট তত বেশী নিষ্ঠুরতা দেখাবেতত বেশী হাসপাতালে পাঠাতে চাইবে। কারণ - কেউ অন্যের ঝামেলা নিতে চায় না।  

মনোরোগবিদগণ মনে করেন, "তারা নিজেরা ছাড়া পৃথিবীতে সবাই মানসিকভাবে অসুস্থ।"  তুমি বেশী টেনশন করো, এটা রোগ। তুমি খুব অসুখী, এটা তোমার রোগ। তুমি বেশী পরোপকার করতে চাও এটা তোমার রোগ। তুমি পশুপাখির দুঃখ বোঝো, এটা তোমার রোগ। কিছু একটা হলেই রোগ। এত রোগ আসে কোথা থেকে ? সাইক্রিয়েটিস্টের মন থেকে। এরা কল্পনা করে করে একেকটা রোগ উদ্ভাবন করে। যাতে তাদের গবেষণা জার্নালে publish হয়। এক সাইক্রিয়েটিস্টের মতামতের সাথে আরেক সাইক্রিয়েটিস্টের মতামতের কোন মিল নাই। যদিও সাইক্রিটিস্টগণ রাজনীতিবিদ নন তবু তাদের হাতে সেইরকম power. শত্রুতাবশত বা টাকার লোভে যদি কাউকে "মাানসিক রোগী" বলে দেয়। তার জীবন শেষ। আদালতে যেমন অপরাধ প্রমাণের জন্য দুই উকিলের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়, তেমনি এক্ষেত্রে বিতর্কের কোন অবকাশই নাই। একজন সাইক্রিয়েটিস্টের রায়ই সর্বোচ্চ আইন। নির্ধারিত সময় পর অপরাধী জেলখানা থেকে বের হয়ে আসে। শাস্তির সময়সীমা শেষ হবার পর তাকে আটকে রাখার সাধ্য কারোর নাই। কিন্তু আপনার আত্মীয়স্বজন এসে আপনাকে নিয়ে না গেলে  সাইক্রিয়েটিস্ট আপনাকে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত মানসিক হাসপাতালে আটকে রাখতে পারবে। জেলখানার চেয়েও ভয়ানক জায়গা মানসিক হাসপাতাল। জেলে আপনি attitude দেখাতে পারবেন। রাগ করে খাবার ছুড়ে মারলে পুলিশ আপনার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে আপনাকে খেতে বাধ্য করবে না। মানসিক হাসপাতালে attitude দেখালে ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে attitude ছুটিয়ে দিবে। না খেতে চাইলে চুলের মুঠি ধরে খাওয়াবে অথবা হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে জোর করে মুখে ঢুকিয়ে দিবে। সেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে পায়ের তলায় পিষে ফেলা হয়। একটু attitude দেখাবেন, আপনার হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে রাখবে আর কর্তৃপক্ষকে বলে দিবে যে, আপনি পাগলামী করছিলেন। আসলে কিছুই করেননি। সামান্য attitude দেখিয়েছিলেন মাত্র। 
পৃথিবীর সব দেশের মানসিক হাসপাতালে বেশীরভাগ রোগী মানসিকভাবে সুস্থ। কিন্তু পরিবার তাদের ভুল বুঝে বা ষড়যন্ত্র করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। মানসিক হাসপাতালে রোগীদের মানুষের মত treat করা হয় না, গরু ছাগলের মত treat করা হয়। এখন হয়ত আপনাদের সবার মনে প্রশ্ন জাগছে - "আমি এত কিছু জানলাম কিভাবে ? নিজে ছিলাম নাকি ?" You tube video দেখেও জানা যায়। Mental Hospital এর নির্যাতনের উপর অসংখ্য ভিডিও আছে you tube এ। 
সমাজের এটাও একটা দিক কিন্তু এদিক নিয়ে কেউ সচেতন না। অনেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এবং করছে কিন্তু মানসিক রোগীদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে না। এটা নিয়ে কেউ কথাই বলে না।  
আমি রোগী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব না। আমার আন্দোলন "মনোরোগবিদ্যা" subject টার বিরুদ্ধে। .. Psychiatry এর অস্তিত্বই পৃথিবী থেকে বিলীন করে দিতে হবে। আমার একটা বদ অভ্যাস - কোনকিছুই অসম্ভব মনে হয় না, সবকিছু সম্ভব মনে হয়। কে জানে ? এটা সাইক্রিয়েটিস্টদের দৃষ্টিতে রোগ কিনা। হাঃ হাঃ ....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন