মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

সৌরজগৎ অধীশ্বর ( ২য় পর্ব )

সূর্য অভিমুখে প্রেরিত মহাকাশযান
সূর্য অভিমুখে যে কয়টি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হলো-

ইউলিসিস (.Ulysses.): এ মহাকাশযানটি মূলত ‘’ইউরোপিটয়ান স্পেস এজেন্সি’’ (ইসা) দ্বারা নির্মিত এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ (.NASA.) দ্বারা ১৯৯০ সালে মহাকাশে প্রেরিত হয়। ৩৭০ কেজির এ মহাকাশযারটি সূর্যের কাছে পৌঁছোনোর জন্য ও পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর জন্য বৃহস্পতির মহাকর্ষ শক্তি ব্যবহার করে, যাকে মহাকাশবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা যায়, ‘গ্র্যাভিটি অ্যাসিস্ট টেকনিক’। এর কক্ষপথ একে মেরু অঞ্চলের উপর দিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে এটি উচ্চগতিসম্পন্ন গ্যাসের কণিকা শনাক্ত করে। সাধারণত এ অভিযানটির উদ্দেশ্য ছিল সোলার উইন্ড এর গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা।
ট্রেস (.TRACE বা Transition Region and Coronal Explorer.) ‘নাসা’ (.NASA.) নির্মিত এ মহাকাশযানটি ১৯৯৮ সালে সূর্য অভিমুখে রওনা হয়। সূর্যেও করোনা এবং বর্ণমণ্ডল ও করোনার মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যবেক্ষণের জন্য এটি প্রেরণ করা হয়।
 হেসি (.HESSI বা High Energy Solar Spectroscopic Imager .): পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিরোমিটার দূরে সৌরশিখার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ২০০১ সালে মহাকাশে একটি দূরবীন পাঠায় নাসা। এ স্পেস টেলিষ্কোপটিকে আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত একটি জেট লাইনার থেকে ছাড়া হয়। ‘পেগাসাস’ (.Pegasus.) নামের রকেটে করে এটিকে পৃথিবীর বাইরে তার কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। ‘হেসি’ সৌরশিখার এক্স-রে ও গামা রে বিশ্লেষণ করেছে।

সূর্যগ্রহণ
গ্রহণ হচ্ছে কোনো গ্রহ নক্ষত্রের অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে যখন মহাকাশে অবস্থিত কোনো জ্যোতিষ্কের ছায়া অপর কোনো জ্যোতিষ্কের উপর পড়ে থাকে অথবা যখন কোনো জ্যোতিষ্ক অপর কোনো জ্যোতিষ্কের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় সেই জ্যোতিষ্কটির আলোকে বাধা দান করে থাকে। সূর্যগ্রহণ ঘটে থাকে কেবলমাত্র পূর্ণচন্দ্র বা নিউমুন (.New Moon.) অবস্থায়। এ অবস্থায় চাঁদের ছায়া পৃথিবীর গা বরাবর অতিক্রম করে। ছায়াটি সাধারণত পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্ব বরাবর ঘণ্টায় ১৭০০ কি.মি. গতিবেগে অতিক্রম করে থাকে। এ ছায়া অঞ্চলে অবস্থিত লোকেরা তিন ধরনের গ্রহণের মধ্যে যে কোনো একপ্রকার গ্রহণই দেখে থাকে। এ তিন ধরনের গ্রহণগুলো হলো- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ ও বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। তবে সূর্যগ্রহণ ঘটে কেবলমাত্র তখনই যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। চাঁদের কক্ষপথের জন্য এ সরলরেখায় এসে পড়া ব্যাপারটা একটা ঘটনাচক্র। তবে প্রতি বছরই পৃথিবীর কোনো না কোনো অঞ্চল থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়ই। গ্রহণের সংখ্যা কোনো বছরে ২ থেকে ৫টা পর্যন্ত হতে পারে।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময় সূর্যের উজ্জ্বল চাকতিকে একদম মাপে মাপে চাঁদের নিজস্ব চাকতি দিয়ে ঢেকে ফেলে। কিভাবে এটা সম্ভব? কারণ, সূর্যের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের ১০৯ গুণ আর চাঁদের ব্যাস পৃথিবীর মাত্র এক চতুর্থাংশ। সূর্য চাঁদের চাইতে কয়েকশ গুণ বড় হলেও আকাশে এ দুই জ্যোতিষ্ককে আমরা সমান মাপের দুটি গোল চাকতি হিসেবে দেখি। কারণ হলো পৃথিবী থেকে এদের নিজ নিজ দূরত্বের সঙ্গে এ দুই জ্যোতিষ্কের নিজস্ব ব্যাসের একটা অদ্ভুত এবং আকস্মিক মিল। সূর্যের ব্যাস চাঁদের ব্যাসের ৪০০ গুণ এবং পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব পৃথিবী-চাঁদের দূরত্বের ৪০০ গুণ। আবার অন্যদিকে, পৃথিবী থেকে এ দুই জ্যোতিষ্কের দূরত্ব তাদের নিজস্ব ব্যাসের ঠিক ১০৮ গুণ। প্রকৃতির এ খেয়ালের জন্য আমরা সূর্য ও চাঁদকে (পূর্নিমার চাঁদ) একই মাপের চাকতি রূপে দেখে থাকি, যদিও এদের আসল আয়তনে আকাশপাতাল তফাত। এ কারণেই চাঁদ যখন সূর্য থেকে ৪০০ গুণ পৃথিবীর কাছে অবস্থান করে সেই সময়ই চাঁদ ও সূর্যের চাকতির আকৃতি প্রায় সমান সমান হয়ে থাকে এবং চাঁদের চাকতি সূর্যকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটায়।




পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কেবলমাত্র পৃথিবীর কয়েকটি অঞ্চল থেকেই দেখা সম্ভব। যেসব অঞ্চলে চাঁদের ছায়া বিস্তার লাভ করে কেবলমাত্র যেসব অঞ্চলই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখে যায়। এ ছায়ার ভিতরের অপেক্ষাকৃত গাঢ় অংশটিকে বলা হয় ‘প্রচ্ছায়া’ বা ‘আম্বরা’ (.Umbra.) এ প্রচ্ছায়া অঞ্চলটি ১৬০ কি.মি. ব্যাপী প্রসারিত হতে পারে। এ অঞ্চলের পর্যবেক্ষকরাই কেবল পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণ দেখে থাকে। ছায়ার বাইরের অপেক্ষাকৃত কম গাঢ় অংশটিকে বলা হয় ‘উপচ্ছায়া’ বা ‘পেনাম্বরা’ (.Penumbra.)।

খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ
পূর্ণগ্রাসের সংকীর্ণ পথের বহির্ভাগে কিন্তু হালকা ছায়াযুক্ত বাইরের অঞ্চলের মধ্যে বা উপচ্ছায়া অঞ্চলের পর্যবেক্ষকরা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ(Partial Eclipse) দেখে থাকে। যদিও খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ পূর্ণগ্রাসের মত চমকপ্রদ হয় না, তবুও এটি একটি যথেষ্ট অভূতপূর্ব দৃশ্য। এ সময় সূর্যেকে দেখলে মনে হয় তার কিছুটা অংশ যেন কামড়ে নেওয়া হযেছে। যখন চাঁদ সূর্যের চাকতি বা বলয়ের কিছুটা অংশ অতিক্রম করে থাকে।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ
বলয়গ্রাস গ্রহণ তখনই ঘটে থাকে যখন চাঁদ সূর্যেও বলয়ের বা চাকতির পুরো অংশ ঢেকে দিতে পারে না এবং চাঁদেও চারপাশে একটা উজ্জ্বল আলোক বলয় আংটির মত দৃশ্যমান হয়ে থাকে। এ ঘটনাটি ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা দূরে এবং পৃথিবী সূর্যের নিকটতম স্থানে অবস্থান করে থাকে। এর ফলে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারে না। এভাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের বদলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ (Annular Eclipse) হয়ে থাকে। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের একটি হতাশাজনক প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে, কারণ সূর্যের করোনা এ গ্রহণের সময় পর্যবেক্ষণ করা যায় না।
 সূর্যগ্রহণ: সূর্য সম্বন্ধে গবেষণা
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণ সম্বন্ধে গবেষণার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। খালি চোখে বা পুরু কারো কাচের ভেতর দিয়ে দেখলে সূর্যকে একটা উজ্জ্বল থালা বলে মনে হয়। অন্য কোনো বিশেষত্ব বোঝা যায় না। টেলিস্কোপ দিয়ে দেখলেও তাই। কারণ সূর্যের উজ্জ্বলতা প্রধানত সে বৃত্তের মধ্যেই সীমায়িত, যার নাম ফোটোস্ফিয়ার বা আলোকমণ্ডল। কিন্তু ফটোস্ফিয়ারকে ঘিরে থাকা লাল রঙের আস্তরণ ক্রোমোস্ফিয়ার বা বর্ণমণ্ডল এবং ক্রোমোস্ফিয়ারকে ঘিরে থাকা গ্যাসের আস্তরণ করোনাকে সাধারণ দিনে আলাদা করে বোঝাই যায় না। এর কারণ, ফোটোস্ফিয়ারের উজ্জ্বলতা করোনার চেয়ে অন্তত ১০ লক্ষ গুণ বেশি। করোনাগ্রাফ নামে এক ধরনের টেলিস্কোপের সাহায্যে আলোকমণ্ডলকে কৃত্রিমভাবে আড়াল করে রাখা যায়। তা সত্ত্বেও আলোকমণ্ডলে আলো কোনো না কোনোভাবে নাক গলায় বলে করোনাকে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করা যায় না।
করোনার যদি এরকম, অবস্থা হয় তা হলে বর্ণমণ্ডলের অবস্থা কী হবে, তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। আসলে, কোনো ধরনের টেলিস্কোপ দিয়েই সাধারণ দিনে ক্রোমোস্ফিয়ারেকে বোঝা যায় না। কেবলমাত্র পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় একে কয়েক পলকের জন্য দেখা যায়। চাঁদ যখন ষূর্যকে ডুরোপুরি ঢেকে দেয়, ঠিক তার পর মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সরু লালচে রঙের বর্ণমণ্ডলকে চোখে পড়ে। এরপর যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য পুরোপুরি আবৃত থাকে ততক্ষণ ধরে দেখা যায় করোনার প্রকৃত রূপটা।
১৮৬০ সালের পূ্ণগ্রাস সূর্যগ্রহনের সময় দু’জন বিজ্ঞানী পি.এ.সাকচি ও ডব্লু দেলা রু প্রমাণ করে দেখান যে, ছটামন্ডল বা করোনা এবং বর্ণমন্ডলবা ক্রোমোস্ফিয়ার সূর্যেরই ভিন্নধর্মী অংশ। উজ্জ্বলতায় টেক্কা দিলে কি হবে, আলোকমন্ডল বা ফটোস্ফিয়ারের উষ্ণতা ৬০০০ ডিগ্রি কেলভিনের মতো। অথচ, করোনর তাপমাত্রা কয়েক লক্ষ ডিগ্রি। করোনার বর্ণালি বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বিকিরণ রেখা সুস্পষ্টভাবে আলাদা করে দেখা যায়। আমাদের চেনা কোন মৌলিক পদার্থের বর্ণালির সাথে এ রেখা মিলে না। তাই বহুদিন থেকে এটি ধরে নেয়া হয়েছিল যে, সূর্যে একটি পৃথক পদার্থের অস্তিত্ব রয়েছে যার জন্য ছটামন্ডলের বর্ণালিতে অচেনা রেখা দেখা যায়। এর নামও দেয়া হয়েছিল ‘করোনিয়াম’। কিন্তু ১৯৪১ সালে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহনকালে বজ্ঞানী বি. এডলে বুঝতে পারলেন, সে বিকিরণ রখার জন্য দায়ী আমাদের চির পরিচিত লোহা নামক ধাতবটি। কিন্তু অকল্পনীয় উত্তাপে তার প্রতিটি পরমাণু থেকে ১৩টি করে ইলেকট্রন ছিটকে বেরিয়ে যায়। ফলে মৌলিক পদার্থ লোহা শুধুমাত্র গ্যাসীয় অবস্থায় পরিণত হয় না, ধনাত্মক তড়িৎযুক্ত হয়ে অবস্থান করে। লোহার এ অবস্থাটা জানতে পারা গিয়েছিল বলে করোনর কয়ক লক্ষ ডিগ্রি তাপমাত্রা সমন্ধে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল।

 ১৯৮০ সালের সূর্যগ্রহনের সময় আমেরিকর ন্যাশনল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এর বিজ্ঞানী সি.কেলার জেট বিমানে চেপে চাঁদর প্রচ্ছায়া অনুসরণ করেন। ফলে ৭ মিনিট ধরে তিনি ভরত মহাসাগরের আকাশ থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহন পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছিলেন। তার দৃষ্টি ছিল প্রধাণত করোনার লেলিহান অগ্নিশিখার উপর। সূর্যের ব্যাসার্ধ যত, তার প্রায় ২০ গুণ দুরত্ব পর্যন্ত করোনার এ অগ্নিশিখাকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও সূর্যের পশ্চিমপ্রান্তে একটি বিশাল সরশিখার উদগিরণ সে সময়ের মধেই তার টেলিস্কোপের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল।সৌরশিখার এ উদগিরণের সময় সূর্য থেকে আা বেতার তরঙ্গের আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বেতার তরঙ্গের এ আলোড়ন লক্ষ করেও সৌরশিখার হটাৎ উৎপত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়।

 
শেষ কথা
তারার শ্রেণীবিন্যাস করার একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, যা অনুসারে সূর্য G-2V বর্ণালি শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। বর্ণালি ধরণ G-2 বলে দেয় সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা আনুমানিক ৫৭৭৮ কেলভিন, আর ‘V’ দ্বারা বোঝায় যে আকাশগঙ্গার অধিকাংশ তারার মত সূর্যও একটি প্রধাণ ধারার তারা অর্থাৎ সে কেন্দ্রভাগে নিউক্লিয়ার সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে অবিরাম হাইড্রোজেন পুড়িয়ে হিলিয়ম উৎপাদন করে যাচ্ছে। কিন্তু যাই হোক, সূর্যের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। আলো দিয়ে তাপ দিয়ে সূর্য আাদের জীবনীশক্তি যোগাচ্ছে। গাছেরা সবুজ পাতায় তাদের খাদ্য তৈরী করে সূর্যেরই আলোর সাহায্যে, আমরা তার উপর ভাগ বসাই। কয়লা পুড়িয়ে যে শক্তি পাওয়া যায় তাও আসে সূর্যেরই কৃপায়।পাশাপাশি জলবায়ু এবং আবহওয়া নিয়ন্ত্রণেও সূ্র্যালোক প্রধাণ ভূমিকা রাখে। সূর্যের আলো যদি না থাকত, তাপ যদি না থাকত, তাহলে কোন জীবের পক্ষেই পৃথিবীতে বেচেঁ থাকা সম্ভব হতো না। তাই, আমাদর অস্তিত্বের জন্য আমরা সূর্যের নিকট ঋণী।

তথ্যসূত্র:

জ্যোতির্বিদ্যা - কালীপদ দাশ
মহাকাশের কথা - ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
এনসাক্লোপিডিয়া অব দ্যা ওয়ার্ল্ড(মহাবিশ্ব, গ্রহ, নক্ষত্র) - এ.এস.এম ভূঁইঞা শিহাব
http://www.onushilon.org/ (সূর্য)
মহাকাশ বিজ্ঞান - মোস্তাক আহমেদ
সৌরজগৎ - অনিন্দ্য দাস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন